তিন-ইয়ারি কথা (২)

Posted by

পর্ব- ২

দুঃখের দিন শেষমেশ শেষ হয় ঠিকই কাহিনীর চরিত্ররা আপাতত বেসামাল, ঝড় ঝাপটা চলছে। তবে আকাশ ঠিকই পরিস্কার হবে আস্তে আস্তে, আগামীর রঙ নিয়ে এক চিলতে রোদ এসে পড়বে মেঘের মধ্যে দিয়ে। 

ফ্ল্যাশব্যাক

ফাইনাল পরীক্ষাটা ঊর্ধ্বশ্বাসে এসে পড়লো ঘোড়ায় জিন দিয়ে।

প্রবল ঝড়ের মধ্যে ছাতা উল্টে গেলে যেমনটা লাগে, সেরকমই অনেকটা অনুভুতি হয়েছিলো তিনমূর্তির। স্টেজে মেরে দেওয়ার অভ্যেস, তাই আগে থেকে তৈরি থাকার বিশেষ তাগিদ ছিলনা। ভেবেছিল ওই দুএক সপ্তাহে ঠিক সামলে নেওয়া যাবে। কিন্তু চাপটা যে এই আকার ধারণ করবে, মালুম হয়নি। লণ্ডভণ্ড কয়েকটা রাত আর দিন এক করে কোনোরকমে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে সামলে দিয়েছিল জোর ঝাপটাটা।

তবে সেই রাত আর দিনগুলোও ছিল অবিশ্বাস্য রকমের প্রাণবন্ত। ‘যা-হবে-দেখা-যাবে’ মানসিকতার এক চরম নিদর্শন বলা যায়। না হলে ওই অবস্থার মধ্যেও কেউ লিপি বা ঝর্ণার দ্বারস্থ হয়? পাঠক ঘাবড়াবেন না, কোনো বদ মতলবে নয়, দ্বারস্থ হওয়া নিছকই চলচ্চিত্র বিনোদনের টানে – এই নামধারীরা প্রেক্ষাগৃহ মাত্র। তবে তদানীন্তন কলেজীয় জনগণের পাঠক্রম বহির্ভূত শিক্ষা অর্জনে এদের অবদান অপরিসীম। সে যাই হোক, একটা পাপের (পড়ুন পেপার) সমাপ্তি হলে সেদিন ইভনিং বা নাইট শো প্রয়োজনীয় অতি অবশ্যই প্রায়শ্চিত্তের তাগিদে।

ঝড়টা এলো, আবার হঠাৎ একফাঁকে ফুরিয়েও গেল। তিনমূর্তি থার্ড ইয়ারে ওঠাটা গুছিয়ে নিতে পেরেছে কি? জানতে হলে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে। আপাতত মূর্তিরা ব্যস্ত নিজেদের ব্যাগগুলো গুছিয়ে নিতে। হোস্টেল ছাড়ার সময় হয়ে এলো। আগামীকাল সকালে, মানে ঘুম যখন ভাঙবে তখন, ধীরেসুস্থে রওনা হবে যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে। তাই অদ্যই শেষ রজনী, এই নাতিদীর্ঘ সেকেন্ড ইয়ারের।

সেই রজনীকে স্মরণযোগ্য করে রাখতে লর্ডস-এ বসেছিল সেই চেনা মেহফিল। সেদিন আর ক্লিফ রিচার্ড নন, বেসুরে গান (এবং বেতালে নৃত্য) পরিবেশন করেছিল চেনা সেই চরিত্ররাই। সেই স্টেজও তাদের ছিল সেদিন, তারাই দর্শক আবার। আর কেউ কোথাও নেই, রাতের অন্ধকার আর নিঝুম নিস্তব্ধতা সঙ্গী করে ভেসে যাওয়া অনাবিল বেপরোয়া আনন্দে। এই দিনগুলো কি কোনোদিন ফিরে পাবে আবার? কে জানে।

রাত শেষ হওয়ার আগে তিনজন একে অপরকে মনে করিয়ে দেয় তাদের আসন্ন পরিকল্পনার কথা। দেখা হবে আবার, ধর্মতলার মোড়ে। পৃথিবী রসাতলে যাক, দেখা কিন্তু হবেই, ঠিকই।

দিন পনেরো পর, মে মাসের পচাগলা গরমের মধ্যে এক শেষ বিকেলবেলায় রামুকে দেখা গেল কে সি দাসের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ইতিউতি দৃষ্টি দিতে। হাতে একটা কিট ব্যাগ, পায়ে পাওয়ার জগার আর গায়ে কিছুদিন আগেই হাতিবাগান থেকে কেনা নতুন টিশার্ট। ব্যাগের মধ্যে তোয়ালে মুড়িয়ে সযত্নে রাখা অনেক কষ্টে ম্যানেজ করে আনা বড়মামা’র শখের এস-এল-আর ক্যামেরা। বাকি দুজন কোথায়?

কাঁধে একটা হালকা টোকায় উপস্থিতি জানান দিল শ্যামু। সে এসেছে মেট্রো ধরে, ভবানীপুর থেকে দশ মিনিটের ছোট্ট রাইড। আফটার শেভ লোশানের মৃদু গন্ধ তখনো ভাসছে তার চারপাশে, সঙ্গে তার স্বভাবসিদ্ধ নির্বিকার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। তাদের প্রাথমিক (কলেজীয়) সম্ভাষণ-পর্ব শেষ হলে দুজনেই একই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়, যদু কোথায়?

অপেক্ষায় একটা সিগারেট কাউনটার করে শেষ হয়ে যায় দুজনের। সামনে রাস্তা পার করে এদিকেই আসছে যদু। সেও দুই মক্কেলকে দেখেছে, একগাল হেসে হাত নেড়ে তার অস্তিত্ব জানান দিয়েছে রাস্তার ওপার থেকেই। মোটামুটি একইরকম সাজপোশাক তারও, তবে এর মধ্যে তার বিখ্যাত গোঁফটা আরও যত্নে লালিত হয়েছে। বাড়তি একটি ঝোলা ব্যাগ দেখা যাচ্ছে তার কাঁধে। এতে রয়েছে একটি প্রমান সাইজের টিফিন বক্স, যার মধ্যে (পরে জানা গিয়েছিল) বেশ কিছু লুচি এবং সহযোগী আলুভাজা যত্ন করে গুছিয়ে দেওয়া। কৌতূহলী শ্যামু’র প্রশ্নে সাফ জানিয়ে দেয় যদু যে সে আদৌ উৎসাহী নয় ওই বাক্সটিকে বারোয়ারী করতে, এবং আর বেশী সাবধানে ব্যাগটাকে সামলে রাখে এইসব অবাঞ্ছিত অঘোষিত উৎপাতের হাত থেকে।

যাই হোক, আপাতত পা চালিয়ে বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছনো দরকার। সিগারেটটা ফেলে ইশারা করে রামু, আর দ্রুত পায়ে তিনমূর্তি হাঁটা লাগায়। বেশিক্ষণ লাগে না দূরপাল্লার বাস টারমিনাসটাতে পৌঁছতে। এখান থেকেই ছাড়বে, রাত আটটা নাগাদ, কলকাতা-নিউ জলপাইগুড়ি ‘রকেট’ বাস। নামেই প্রমাণ যে এই বাস খ্যাত তার দ্রুত গতির জন্যে, তবে কুখ্যাতিও আছে মাঝে মধ্যেই একটা দুটো চাপাপড়া কেসের দৌলতে। সে যাই হোক, এছাড়া গতি নেই, এই গরমের ছুটিতে ট্রেনে রিসার্ভেশন পাওয়া অসম্ভব।

দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলোকে পাশ কাটিয়ে টিকিট কাউনটারের সামনে পৌঁছতে বেশী বেগ পেতে হল না। খুব একটা ভিড় তো চোখে পড়লো না, অবশ্য এখনো তো দেরি আছে ঘণ্টা দুয়েক, তাই জন্য বোধহয়। লাইনে দাঁড়িয়ে মনে মনে ছোট্ট একটা প্রার্থনা সেরে নিল রামু, টিকিট যেন পাই। এই আগে থেকে টিকিট না কাটার আইডিয়াটা তারই ছিল, একটু বাড়তি রোমাঞ্চ আমদানির আকাঙ্খায়। কিন্তু এবার যদি সেই আইডিয়া মাঠে মারা যায়, তাহলে বাকিরা তার কি হাল করবে সেটা ভেবে বেশ চাপ অনুভব করছিল সে গত কয়েক ঘণ্টা ধরে।

কথায় আছে – তুমি যাও বঙ্গে, কপাল যায় সঙ্গে। আর তাই উত্তরবঙ্গে যাওয়া হচ্ছে বলেই বোধহয় ভগবান নিরাশ করলেন না। তিনটে সীট ঠিক জুটে গেল, পাশাপাশি না হলেও। টিকিটগুলো হাতে নিয়ে বেশ বিজয়ীর হাসি হেসে সে জানালো দুজনকে, যাওয়া তাহলে হচ্ছে ঠিকই। যাক, বাঁচা গেল, এবার হাতে অনেক সময় আছে, ঘণ্টা খানেক বাবুঘাটে গঙ্গা’র ধারে খোলা হাওয়া খেয়ে কাটানো যেতে পারে। তবে তার আগে একটা জরুরি কাজ সেরে ফেলা দরকার। শ্যামু আর যদু, দুজনেই তাদের মানিব্যাগ বার করে কয়েকটা একশো টাকার নোট বার করে এগিয়ে দিল রামু’র দিকে, আর অম্লানবদনে, অনেকটা গম্ভীর মুখেই, সেগুলো পকেটস্থ করল রামু।

ব্যাপারটা আর কিছু না, আগেই ঠিক ছিল যে এযাত্রায় হিসেবপত্রর দিকটা রামুই দেখবে। ব্রিজ খেলতে খেলতে তাসের হিসেব বেশ মনে রাখতে পারে রামু, আর তার পার্টনার তটস্থ থাকে যদি গোলমাল করে তাহলে কপালে দুঃখ আছে এই ভেবে। এটা চোখ এড়ায়নি শ্যামু’র, আর তাই ক্যাশিয়ার পদে সে তার রুমমেটকে আগেভাগেই মনোনীত করে রেখেছিল। রামু জানিয়েছিল, তাদের শেষ সান্ধ্য বৈঠকে, যে তাদের  এই যাত্রায় হতে হবে মিতব্যয়ী এবং সঞ্চয়ী। যাতায়াত আর হোটেল খরচা যতটা সম্ভব বাঁচানোয় বিশেষ জোর দিতে হবে, যাতে কিনা দৈনন্দিন খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য আবশ্যকীয় প্রয়োজন (সিগারেট ইত্যাদি) মেটানো সম্ভব হয়। তাই গঙ্গার ঘাটে ঝালমুড়ি ছাড়া কোনো অপরিকল্পিত খরচ অনুমোদন করেনি সে, যদিও তার জন্যে দুচারটে গালাগালও খেতে হয়েছে তাকে।

বাসটা ছাড়লো ঠিক সময়মতই। একটা টু-সিটারে রামু আর শ্যামু। সামনে যদু, তার পাশের আসন আপাতত খালি যাচ্ছে, পরে কেউ উঠবে হয়তো। তখনকার দিনে ‘এসি বাস’ ব্যাপারটা প্রচলিত ছিল না, আর ধূমপায়ীদের দিকে বাঁকা নজরে দেখাও চালু হয়নি, তাই দিব্বি জানলা নামিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে যাওয়া যেত। তাই যাচ্ছিল তিনমূর্তি। তবে খানিক পরেই, শহরের সীমানা ছাড়িয়ে যশোর রোড ধরে এগোতেই মালুম পাওয়া গেল ‘রকেট’-এর মহিমা। তখনকার দিনে শহর এবং শহরতলির রাস্তারা ঠিক হেমা মালিনীর গালের মতো ছিল না, আর ‘রকেট’ একবার উৎক্ষেপিত হলে তার গতি রোধ করা যায় নি কখনো, সুতরাং এই যুগলবন্দীতে যাত্রীদের কি হাল হতে পারে সেটা অনুমান করা সহজ। ঘণ্টা দুয়েক অত্যাচারের পর বাস থামলো একেবারে কৃষ্ণনগরে। বাসের চালক নেমে অদৃশ্য হলেন ঝোপের আড়ালে, আর সহকারী এসে জানালেন এখানে আধঘণ্টার বিরতি, রাতের খাওয়া এখানেই সেরে নিতে হবে। এরপর গাড়ি দাঁড়াবে সেই ভোরবেলায়, পথে কোথাও।

বাসে ওঠার পর যে যার ব্যাগগুলো রেখেছিলো সীটের মাথার ওপর লাগেজ র‍্যাকে, নামানোর বিশেষ প্রয়োজন পড়েনি এর মধ্যে। বাস চলাকালীন খাওয়াও হয়নি কিছু, তাই কৃষ্ণনগর আসতেই রাতের খাওয়ার ব্যাপারটা মাথায় এলো। একটা ধাবা গোছের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বাসটা, লোকজন একে একে নেমে ওদিকে এগোতেই আপাত ফাঁকা দোকানটা ভরাট হয়ে উঠলো। এরাও বসেছিল গুছিয়ে একটা খাটিয়ার ওপর, তবে শ্যামু হঠাৎ বেপাত্তা। ডিম তড়কা আর রুমালি রুটির ফরমায়েশ করতেই খিদেটা চনচন করে বেড়ে উঠলো রামু’র। যদু এটা তো সাঁটাবেই, এছাড়া আছে তুরুপের তাস লুচি আলুভাজা, যেটা কিনা সে খাবে বাস এইবার ছাড়লেই, তারিয়ে তারিয়ে। ব্যাপারটা ভাবনায় আসতেই গোঁফটা একবার হালকা করে চেটে নিল সে।

শ্যামু যতক্ষণে হাজির হল, ততক্ষনে প্লেট অর্ধেক খালি। তবে বিশেষ খাওয়াতে উৎসাহ দেখা গেল না তার, দেড়খানা রুটি খেয়েই থেমে গেল এবারের মতন। তবে একটা ফিচেল হাসি ঘোরাঘুরি করছে তার ঠোঁটে, কারণটা ঠিক বুঝে ওঠার আগেই বাসের হর্ন শোনা গেল। বিরতি শেষ, এবার বাকি যাত্রা শুরু হবে। বহরমপুর মালদা ফারাক্কা পেরিয়ে ভোরের দিকে ইসলামপুর এলে আবার দাঁড়াবে বাস। তাড়াহুড়ো করে লোকজন উঠছে বাসে, এই তিনজন ধীরে সুস্থে সিগারেটে টান মারতে মারতে সব শেষে উঠলো। যদুর পাশের সীটটা এখনো খালি, তার মানে রাতে কেউ আর আসবে না বিরক্ত করতে। জুতো খুলে মহা আনন্দে সীটের ওপর পা তুলে বসলো সে, এতো সোনায় সোহাগা। পিছনের সীটে জানলার ধারে এবার রামু। হালকা চলতে শুরু করেছে বাসটা আবার, রাতে ঘুমের তোড়জোড় শ্যামুর, গা এলিয়ে দিয়েছে।

খোলা জানলায় হাওয়ার পরশে ঘুম এসে গিয়েছিল, এক উৎকট চিৎকারে ঝটকাটা ভাঙলো রামুর। আওয়াজটা আসছে সামনের সীট থেকে, ভালো করে ঠাহর করলে বোঝা গেল যদুর ব্যাগটা সীটে নামিয়ে রাখা। তার ভেতর থেকে বার করা হয়েছে সেই টিফিন বাক্স, আর সেটা খোলা। চিৎকারটা বোধহয় সেই বাক্সকে কেন্দ্র করেই, কারন যদু এবার বাক্স থেকে মুখ তুলেই এদের দিকে তাকিয়ে, তার চোখে হিংস্র এক প্রতিশোধের আগুন। রামু’র হাঁ-টা চওড়া হতে হতে প্রায় কান অবধি পৌঁছেছে, আর ঘাবড়ে গিয়ে সীটে প্রায় মিশে যাওয়ার উপক্রম তার।

এমন সময় খিকখিক হাসির শব্দ ভেসে এলো তার পাশ থেকে। আর সেই হাসি বোধহয় কোনো এক ইশারায় যদুকে তার প্রশ্নের উত্তর এনে দিলো।

বেচারা যদু, তার অনেক তরিবৎ করে জমিয়ে রাখা লুচি-আলুভাজা অর্ধেক সাবাড় করে দিয়েছে কেউ এক ফাঁকে। বাস ছাড়ার কিছু পরে, যখন খিদেটা আবার চাগাড় দিয়েছিলো, তখন ব্যাগটা টেনে নামিয়ে টিফিন বাক্সটা বার করার সময়ই খটকা লেগেছিল, এতো হালকা কেন? তারপর ওটা খুলতেই ২২০ ভোল্টের ঝটকা। কার কাজ হতে পারে এটা ভাবতে ভাবতেই সেই খিকখিক হাসি, আর তারপর বাছা বাছা শব্দের গোলাগুলি বর্ষণ যদুর দিক থেকে। অপরাধী এদিকে হেসেই প্রায় ধরাশায়ী, শব্দের বিশেষ পড়েনি তার ওপর। বোঝাই যাচ্ছে যে অনেক পরিকল্পনা করে সে নেমেছিল কাজে, সেই কারনেই হঠাৎ গায়েব হয়ে গিয়েছিলো বাস থামার পর। লুচির দিকে তার চোখ প্রথমেই পড়েছিল, আর তাই এক ফাঁকে এসে সাবড়ে দিয়ে সরে পড়ে এসে বসেছিল ডিম-তড়কার স্বাদ চাখতে।

নেহাত বাসের মধ্যে তাই, নাহলে ব্যাপারটা এতো সহজে মিটত না। গালাগাল দিয়ে একরকম ক্লান্ত হয়েই বাকি লুচিগুলো খেলো যদু, আর শ্যামু থেকে থেকে খিকখিক হাসিতে সংক্রামিত করছিলো রামুকেও। এভাবেই রাত নেমে এলো, আর ওদের চোখের পাতায় ঘুম। অন্ধকার চিরে ছুটে চলা বাসের অকস্মাৎ হর্নের আওয়াজে বা হঠাৎ কোনো গাড্ডায় পড়লে ঝাঁকুনিতে ঘুমটা ছিঁড়ে যাচ্ছিল ঠিকই, তবুও সেই জোড়া দেওয়া ঘুমে ভর করেই ভোর এলো, নতুন একটা দিনের।

– ক্রমশ

Leave a comment